পীরগঞ্জ, রংপুরপ্রতিনিধ
রংপুরের পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নের ছিলিমপুর নামক স্থানে গত ৪জুলাই বিকেল আনুমানিক ৫টায়পল্লীবিদ্যুৎ লাইনে পোল্ট্রি ফার্মের জেনারেটরের সংযোগেবিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি ৬ লক্ষ টাকার রফাদফায়,ময়না তদন্ত ছাড়াই নামমাত্র ইউডি মামলা করে নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ দর্শিদের বিবরনে জানা যায়, উক্ত স্থানে শঠিবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনের একটি পিলার হেলে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেদিয়ে ঠিকাদারের শ্রমিক কর্তৃক মেরামতের কাজ চলছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় অই লাইনের আওতায় স্থানীয় আলমগীর পোল্ট্রি ফার্মে ও বিদ্যুৎ ছিলনা।এমন সময় উক্ত পোল্ট্রি ফার্মের নিজস্ব জেনারেটর চালু করায় উল্টো পাশের্ বিদ্যুৎ প্রভাবিত হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন বিদ্যুতায়িত হয়ে-৩ শ্রমিক বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বিকট শব্দে লাইন থেকে মাটিতে ছিটকে পড়ে। গুরুতর অ সুস্থ অবস্থায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তাসকিন মিয়া (৩৫) এর মৃত্যু ঘটে। নিহত তাসকিন মিঠাপুকুর উপজেলার কাঠাঁলী (কাজীপাড়া) গ্রামের আব্দুর রহহমানের পুত্র বলে জানা যায়। অপর ২ শ্রমিক মমিন ইসলাম (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬) আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যার মধ্যে তরিঘড়ি করে পল্লীবিদ্যুৎ সদর দপ্তরে মিঠাপুকুর উপজেলার জনৈক এক আওয়ামীলীগ নেতার নের্তৃত্বে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ,পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, পল্লীবিদ্যুৎ ঠিকাদার ও পোল্ট্রি ফার্মের প্রতিনিধিসহ ৬ লক্ষটাকায় বিষয়টি রফাদফা করা হয়েছেএবং থানার অনুমতি সাপেক্ষে ৫ জুলাই সকাল ১১টায় ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার আনারুলের সাথে কথাহলে, তিনিএর সত্যতা স্বীকার করেনএবং বলেন এর জন্য তাকে ৩ লক্ষ টাকা গুনতে হয়েছে। অপরদিকে পোল্ট্রি ফার্মের মালিক আলমগীর হোসেনের বড় ভাইয়ের সাথে কথা হলে তিনিও জানান, ঠিকাদার এ ব্যাপাওে ৩ লক্ষটাকা দিয়েছে আমাদের কেও ৩ লক্ষটাকা গুনতে হবে, তানা হলে নাকি আমাদের নামে হত্যা মামলা করা হবে।
পল্লীবিদ্যুতের ভেন্ডাবাড়ী সাব-জোনাল অফিসের এ জি এম মনিমুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনিবলেন, বিষয়টি নিয়ে একটা সমঝোতা হয়েছে।তবে এর জন্য পুরোপুরি পোল্ট্রি ফার্ম মালিকই দায়ি। ইতিমধ্যে আমরা ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছি।
অপরদিকে রাত আনুমানিক ৯টায় ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহীন তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে যান। পরে পীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ সরেস চন্দ্রকে না পেয়ে ওসি তদন্ত মাসুম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও অনুরুপ কথা বলেন।অপরদিকে রাত ১১টায় আবারও যোগাযোগ করা হলে ওসি তদন্ত মাসুম বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হ্যা শুনেছি এটা নাকি উনারা মিমাংশা করেছে। জানি না আমাদের জন্য কি করবে ? আমার ছেলেই চলে গেল, আমি টাকা দিয়ে কি করবো ?
বিষয় টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে, তাদেও ধারনা আদৌও কি নিহতের পরিবার সমঝোতার ৬ লক্ষ টাকা পাবে ? সচেতন মহল এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।